বাংলাদেশের সীমান্তে আগুন জ্বললে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না: মমতা

বাংলাদেশ সীমান্তে যদি আগুন জ্বলে, তাহলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহার ও ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না, সতর্ক করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করে মমতা বলেন, "মাৎস্যন্যায় শব্দটা আমরা সবাই জানি—যখন বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খায়। বাংলাদেশে এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেন সেখানে নেতৃত্বহীনতা চলছে। এই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে যদি রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকে, তাহলে বিহার ও ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে না।"

মমতা আরও সতর্ক করে বলেন, "যদি বাংলাদেশ সীমান্তে কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার ও ওড়িশাও নিরাপদ থাকবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করুক।"

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখার এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সবাই শান্তিতে থাকতে পারবে।"

মমতা আরও বলেন, "সবকিছুর পরেও আমি চাই বাংলাদেশ তার কঠিন সময় কাটিয়ে উঠুক। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ একটি সাধারণ ভাষা ও সংস্কৃতি শেয়ার করে। ভৌগোলিক সীমারেখা থাকতে পারে, কিন্তু হৃদয়ে কোনো সীমানা নেই। বাংলাদেশে যাই ঘটুক, আমি চাই সবাই শান্তিতে থাকুক।"

ভারতের প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার বিষয়টি কি ইঙ্গিত করছে—এ প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, "আমি কখনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলি না। এটি আমার ভারত।" এর আগে, মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর এবং 'নির্যাতিত ভারতীয়দের' নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য।