হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রকোপ প্রতিবছরই তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তাপমাত্রা ১৩-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করায় হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সকালে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার ফাঁক গলে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে, আর সেই সঙ্গে শীতের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ছে। অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহেই তাপমাত্রা কমে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য:
তেঁতুলিয়ার বাসিন্দারা জানান, উত্তরের জেলা হিসেবে পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া শীতের অনুভূতি বাড়াচ্ছে। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কম্বল কিংবা কাঁথা গায়ে না দিয়ে থাকা যাচ্ছে না। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় এ এলাকায় শীতের আগমন অন্যান্য জেলার তুলনায় আগে ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। তবে অক্টোবর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়। শীতকে ঘিরে স্থানীয় বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে ভাপা, চিতুই ও পৌষ পিঠা।
স্বাস্থ্যঝুঁকি:
শীতের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ:
তীব্র ঠাণ্ডার কারণে শ্রমিক, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে যাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য:
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।