সোমবার (২৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হিজবুল্লাহর হামলা
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো তারা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের আশদোদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। পরে সংগঠনটি দাবি করে, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ টানা হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তেল আবিবের উপকণ্ঠে গ্লিলট সেনাবাহিনী গোয়েন্দা ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা।
আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরাইলের মালোন শহরের একটি কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেতুলা শহর ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তেল আবিবের উপকণ্ঠসহ উত্তর-পূর্ব ও মধ্য ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আকাশপথে হামলার সময় এমন সাইরেন বাজানো হয়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর ছোড়া প্রায় ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে ইসরাইলের ভেতরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে অনেক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা হয়।
পাল্টা হামলা
ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তারা লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে আঘাত হানার দাবি করেছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন।
এদিকে, লেবাননজুড়ে ইসরাইলি হামলায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় লেবাননের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানুয়ারি পর্যন্ত বৈরুতের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
যুদ্ধবিরতির পক্ষে মতামত
গাজা ও লেবাননে চলমান সংঘাতের মধ্যেও ইসরাইলের সাধারণ জনগণ সংঘাত বন্ধ চায়। এক জরিপে দেখা গেছে, ইসরাইলের ৫৪ শতাংশ বাসিন্দা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পক্ষে মত দিয়েছেন। আর ২৮ শতাংশ মানুষ যুদ্ধ বন্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।