অ্যান্টিগা টেস্ট: ব্যাটারদের পুরনো সমস্যায় বড় পরাজয়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশ
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটা ছিল চমকপ্রদ। হাতে ১ উইকেট রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংস ঘোষণা করেন। কন্ডিশনের সুবিধা নিতেই এই সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। টাইগার বোলাররা তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন, তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে লিডসহ বাংলাদেশের সামনে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।
অ্যান্টিগা টেস্ট: ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয়ের পথে বাংলাদেশ
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটা ছিল চমকপ্রদ। হাতে ১ উইকেট রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ইনিংস ঘোষণা করেন। কন্ডিশনের সুবিধা নিতেই এই সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। টাইগার বোলাররা তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন, তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে লিডসহ বাংলাদেশের সামনে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।
জিততে হলে মিরাজের দলকে রেকর্ড গড়তে হবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরেছে বাংলাদেশ। মাঠ ও প্রতিপক্ষ বদলালেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরনো সমস্যা রয়ে গেছে। ব্যাটারদের অসচেতন ব্যাটিংয়ে আবারও একটি টেস্ট হারার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উইকেটে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু কোনো ব্যাটারই সেটি ধরে রাখতে পারেননি। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯। জয়ের জন্য শেষ দিনে প্রয়োজন ২২৫ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।
৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কেমার রোচের বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। এরপর দলীয় ৭ রানে মাহমুদুল হাসান জয়ও ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শাহাদাৎ দীপুও দলের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারেননি। দলীয় ২০ রানে আউট হয়ে তিনি দলের চাপ বাড়িয়ে দেন। এই চাপ সামলাতে পারেননি অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও, ১১ রান করে তিনি দলীয় ২৩ রানে ফিরে যান।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ভরসা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ ও লিটন দাস। তবে লিটন দাসের বিলাসী শটের কারণে সেই জুটি ভেঙে যায়। তার বিদায়ে দলীয় ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ বিপদে পড়ে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিরাজ। জাকের আলী ১৫ রানে ক্রিজে আছেন, তার সাথে হাসান মাহমুদ, তবে তিনি এখনও রানের খাতা খোলেননি।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে রোচ ও জেইডেন সিলস তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন, আর শামার জোসেফ শিকার করেছেন বাকি উইকেটটি।
এছাড়া, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে গ্রানাডা টেস্টে ২১৭ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল সাকিব আল হাসান নেতৃত্বাধীন দল। বিদেশের মাটিতে সেটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। এবার অ্যান্টিগা টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে ১৫ বছর আগের সেই টেস্টের চেয়ে ১১৭ রান বেশি করতে হবে। বর্তমানে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে জাকের আলী ক্রিজে আছেন।
What's Your Reaction?