বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের জোর দাবি জানায়। তারা অভিযোগ করে, মেডিকেল শিক্ষা খাতে অটোমেশন ভারতের ষড়যন্ত্রের অংশ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “পছন্দের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলে আমরা পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারতাম এবং মানসিক সাপোর্ট পেতাম। মেডিকেলের পড়ালেখা অনেক কঠিন হওয়ায় পরিবার আমাদের মানসিকভাবে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু পছন্দের বাইরে এমন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছি, যেগুলোর নাম আমরা আগে কখনো শুনিনি। এর ফলে আমরা মানসিক চাপে ভুগছি এবং অনেক সময় ভেঙে পড়ছি। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজ না পেয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে বা অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে। তাই মেডিকেল খাত রক্ষা করতে হলে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “অটোমেশন একটি দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। মেধাতালিকা চার থেকে পাঁচবার প্রকাশের পরও আসন ফাঁকা থাকছে, ফলে ক্লাস শুরুর বিলম্ব হচ্ছে। শেষ ধাপে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন এবং পুরাতন পড়া সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, যা মানসিক চাপে ফেলে দিচ্ছে।”
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, “ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, অটোমেশনের দিন শেষ”, “বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন বাতিল করো”, “ভারতীয় অটোমেশন নিপাত যাক”, এবং “অটোমেশনের নামে হঠকারি সিদ্ধান্ত শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছে”।