ওপার বাংলার বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। কবিতাটি সরাসরি উল্লেখ না করলেও বোঝা যাচ্ছে, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের অনেক লেখক, কবি ও শিল্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে বাদ পড়েননি উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কবীর সুমনও। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করে আসছেন। জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানের পরও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেক লেখা শেয়ার করেছিলেন।
শনিবার, নিজের ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন, "সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, তখন কিসের কার অবমাননা হচ্ছিল?" পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করলেও, অনেকেই মনে করছেন এটি শ্রীজাতকে উদ্দেশ করেই লেখা হয়েছে। মন্তব্যের ঘরে তার অনুসারীরাও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গতকাল রাতেও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সুমনের আরেকটি পোস্ট আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। সেখানে তিনি লিখেছেন, "আকারে বড় দেশগুলো তাদের ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোকে অধীনস্থ মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র কিউবা-হাইতির মুরব্বি মনে করে, পুয়ের্তো রিকোকে তো অঙ্গরাজ্যই মনে করে। ভারত মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের মুরব্বি।"
আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, "তোমরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া করো, আমি প্রেম করছি, প্রেম করেই যাব।"
এছাড়াও, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর তিনি বাংলাদেশি লেখক ও শিক্ষকদের অনেক লেখা শেয়ার করেছেন। তিনি ঘৃণার রাজনীতি নিয়ে বলেছেন, "ঘৃণার ফাঁদে পা দেবেন না।"
এর আগে, ৮ আগস্ট ফরিদপুরের একটি শহীদ মিনারের ছবি শেয়ার করেন যেখানে লেখা ছিল, "রুখে দাও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এই দেশটাজুড়ে।" এছাড়াও, ৭ আগস্ট তিনি ভারতীয় বাঙালিদের বাংলাদেশের বিষয়ে অতিরিক্ত মতামত দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেন।
সবশেষে কবীর সুমনের আহ্বান ছিল, "যেহেতু আমরা বাংলাদেশে থাকি না এবং সবকিছু জানি না, তাই কোনো চরম মত দেওয়ার আগে বাকসংযম শ্রেয়।