"মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা থেকে এতিমখানা—সর্বত্র তার অভিনব প্রতারণার ছাপ!"
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শতকোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। তিনি প্রায়ই মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাহফিলে গিয়ে বড় অঙ্কের টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়ে প্রশংসা কুড়াতেন, কিন্তু বাস্তবে কখনও সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেননি। এর ফলে জেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রতিবন্ধীদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক টাকাও দেননি তিনি।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শতকোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। তিনি প্রায়ই মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাহফিলে গিয়ে বড় অঙ্কের টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়ে প্রশংসা কুড়াতেন, কিন্তু বাস্তবে কখনও সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেননি। এর ফলে জেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রতিবন্ধীদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক টাকাও দেননি তিনি।
কমলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সরকারি জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে শুধু স্থানীয় জনগণ নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও অতিষ্ঠ।
কমলের বড় ভাই, রামু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল জানান, নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেবেন, তবে বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনি এক টাকাও দেননি। তার দাবি, গত ১৫ বছরে কমল অন্তত শতকোটি টাকা প্রতারণা করেছেন।
এছাড়াও সোহেল সরওয়ার অভিযোগ করেন, কমল টিআর/কাবিখা/কাবিটা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি বরাদ্দের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যার ফলে তারা জনপ্রতিনিধিরা বরাদ্দ পাচ্ছেন না।
কমলের ছোট বোন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী জানান, কমলের প্রতারণার পরিমাণ শতকোটি টাকা নয়, এটি হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
What's Your Reaction?