পাকিস্তানে ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতারদের মতো পেসারদের পরেই আলোচনায় উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা, যখন তিনি ঘণ্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম বল। এবার তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস স্বর্গেও গতি দিয়ে ঝড় তুলেছেন, এবং তার পেস তোপেই জ্যামাইকা টেস্টে বাংলাদেশ এখন চালকের আসনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন নাহিদ। তার গতির সঙ্গে বাউন্সারও ক্যারিবীয় ব্যাটারদের বিপদে ফেলেছে। নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার বা তার কাছাকাছি গতিতে বল করে তিনি তাদের একের পর এক আউট করেছেন। নাহিদের প্রথম ফাইফার নিয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস। তিনি বলেন, "যখন আপনি ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করবেন, তখন উইকেট পাবেনই।"
প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়লেও নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দল এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ১৮ রানের লিড এনে দেন। কোচের মতে, নাহিদের এমন পারফরম্যান্সে দলের বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদকেও কৃতিত্ব দিতে হবে, কারণ তারা মাঠে নাহিদের মনোযোগ ধরে রাখে।
বোলিং কোচ অ্যাডামস বলেন, "আমরা জানতাম একসময় এমন কিছু হবে। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করলে উইকেট পাবেনই। ওকে ভালোভাবে সামলানো আমাদের দায়িত্ব। ভাগ্য ভালো যে ওর আশপাশে তাসকিন ও হাসানের মতো পেসাররা আছেন, যারা মাঠে ওকে মনোযোগী রাখে।"
তৃতীয় দিনের শেষে নাহিদ বলেন, "এখানে ব্যাটসম্যানরা অনেক কিছু চেষ্টা করে, তাই বোলারদের খুব বেশি কিছু চেষ্টা না করে লাইন টু লাইন বোলিং করা উচিত।"
ম্যাচে বাংলাদেশ দলের জয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে নাহিদ বলেন, "আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। যদি ২৫০ রানের ওপরে যেতে পারি, তাহলে চতুর্থ দিনে উইকেট কঠিন হবে, বাউন্স অসমান থাকবে, স্পিনাররা টার্ন পাবে, ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু হবে।"