ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহত আরও ৫০ ফিলিস্তিনি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একদিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনও অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারেননি। ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে থাকা মানুষেরা চরম দুর্দশায় আছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরাইল গাজায় লাগাতার বিমান ও স্থল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৯২২ জনে, আর আহত হয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৮৯৮ জন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে, তবুও ইসরাইল তার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, পানি এবং ওষুধের চরম সংকটের মধ্যে তারা বাস করছে। গাজার ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে, জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণবহরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০৯টি ত্রাণবাহী ট্রাকের মধ্যে ৯৮টি ট্রাক খোয়া গেছে। এই ঘটনাকে ১৩ মাসের সংঘাতে সবচেয়ে নৃশংস লুটপাটের একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে:
গাজার এই মানবিক সংকট ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা আবারও জোরালোভাবে উঠে এসেছে।
What's Your Reaction?