গরম চায়ের সঙ্গে মুচমুচে বিস্কুট খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
সকাল বা সন্ধ্যা— চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে কি জমে? আর বাঙালির ‘টা’ মানেই মুড়ি, মুচমুচে বিস্কুট অথবা শিঙাড়া, চপ। এখন তো চায়ের আড্ডায় শৌখিন কুকিজ এবং কেকও চলে আসছে। গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে না খেলে তো ভাল লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার এই অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? এটা শরীরের জন্য লাভজনক নাকি ক্ষতিকর?
সকাল বা সন্ধ্যা— চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে কি জমে? আর বাঙালির ‘টা’ মানেই মুড়ি, মুচমুচে বিস্কুট অথবা শিঙাড়া, চপ। এখন তো চায়ের আড্ডায় শৌখিন কুকিজ এবং কেকও চলে আসছে। গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে না খেলে তো ভাল লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার এই অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? এটা শরীরের জন্য লাভজনক নাকি ক্ষতিকর?
ভারতের খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকালে বা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে কখনোই ময়দার বিস্কুট খাবেন না, কুকিজ বা কেক তো দূরের কথা। অনেকেই হয়তো বলবেন, আটা দিয়ে তৈরি থিন অ্যারারুটও কি ক্ষতিকর?
তিনি বলেন, থিন অ্যারারুট বা ক্রিম ক্র্যাকারস মতো বিস্কুট তেমন ক্ষতিকর নয়, তবে এদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট নেই। চায়ের সঙ্গে ময়দা বা আটার বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এই দুইয়ের মেলবন্ধন পাকস্থলীতে ঠিকমতো হজম হয় না, ফলে বদহজম, গ্যাস ও অম্বল বাড়তে পারে।
বিস্কুটের আরও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। পুষ্টিবিদের মতে, যখন আপনি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ বিস্কুট চায়ে ডুবিয়ে মুখে পুরছেন, তখন শরীরে অনেক ক্যালোরি প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া, বিস্কুটের অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়ায়। যদি দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের সঙ্গে নিয়মিত বিস্কুট খান, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং তা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বিস্কুটে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের এবং শরীরে অন্য কোনো অসুখ থাকলে বিস্কুট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিস্কুটে অতিরিক্ত চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। নোনতা বিস্কুটও নিরাপদ নয়, কারণ তাতে নুনের পরিমাণ বেশি এবং গ্লুটেনের পরিমাণও বেশি থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। চায়ের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট বিস্কুট খান, সেটিও ক্ষতিকর। টোস্ট বিস্কুট পাউরুটি দিয়ে তৈরি হয় এবং এটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
বিকল্প কী হতে পারে?
শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, চায়ের সঙ্গে একমুঠো শুকনো মুড়ি খেতে পারেন। এছাড়া, শুকনো খোলায় ভাজা ছোলাও ভাল। চিড়ে ভাজা হাতের কাছে রাখতে পারেন। বাদামও স্বাস্থ্যকর, কিন্তু তা একমুঠোর বেশি নয়। যা-ই খান, পরিমিতভাবে খেতে হবে।
চেষ্টা করতে হবে দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা পান করতে। এটি দিনে দু'বারের বেশি নয়। আদা, দারচিনি, তেজপাতা ও লবঙ্গ ফুটিয়ে বানানো চা বেশি স্বাস্থ্যকর। তার সঙ্গে একমুঠো শুকনো ফল বা ছোলা খেতে পারেন।
What's Your Reaction?