মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নিয়ার স্কট বেসেন্টকে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেজারি সেক্রেটারি অফ স্টেট (অর্থমন্ত্রী) পদে নিযুক্ত করেছেন।
শুক্রবার রাতে ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, "স্কট বেসেন্ট বিশ্বের অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে ব্যাপকভাবে সম্মানিত।"
তিনি আরও বলেন, "স্কট আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি নতুন স্বর্ণযুগের সূচনা করতে সহায়তা করবেন, কারণ আমরা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি হিসেবে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারব।"
ট্রাম্প বলেন, "বেসেন্ট বেসরকারি খাতের পুনরুজ্জীবন এবং ফেডারেলের টেকসই পথের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজেও সহায়তা করবেন।"
বেসেন্ট সম্প্রতি ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এখন তার নেতৃত্বে ট্রাম্প কংগ্রেসের মাধ্যমে কর কমানোর প্রক্রিয়া এবং চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
ট্রেজারি সেক্রেটারি বা অর্থমন্ত্রী পদমর্যাদার এই পদকে বাণিজ্যমন্ত্রীর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থনৈতিক এবং ট্যাক্স নীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারেন, এবং এই ক্ষেত্রে স্কট বেসেন্টের নেতৃত্ব সেরা পছন্দ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, ট্রেজারি বিভাগ ইরান, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া সহ বিভিন্ন বিবদমান দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজও পরিচালনা করে। একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অর্থ পাচার বা কোনো দেশের সম্পদ জব্দ করার দায়িত্বও ট্রেজারি বিভাগের।
সম্প্রতি রয়টার্সের এক জরিপে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন আগামী বছরের শুরুতে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর প্রায় ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর চীনের অর্থনীতি নিয়ে এটিই প্রথম জরিপ।
নির্বাচনী প্রচারণায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার ফলে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
