চট্টগ্রামের আকমল আলী ঘাটে সাত ঘণ্টায় নিভল আগুন, পুড়েছে ৩৭ স্থাপনা
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৭টি আধাপাকা স্থাপনা পুড়ে গেছে, এর মধ্যে ছিল জেলেদের জাল রাখার ঘরও। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আকমল আলী ঘাট এলাকায়। প্রায় সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৭টি আধাপাকা স্থাপনা পুড়ে গেছে, এর মধ্যে ছিল জেলেদের জাল রাখার ঘরও। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আকমল আলী ঘাট এলাকায়। প্রায় সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাটে সাগরে মাছ ধরার জাল রাখার জন্য কিছু টিনের ঘর ছিল। মাছ ধরার পর জেলেরা সেখানেই তাদের জাল রাখতেন। হঠাৎ করে ওই ঘরগুলোতে আগুন লেগে তা দ্রুত অন্য ঘরগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই কয়েকটি তেলের দোকানও ছিল, যেখানে জ্বালানি তেল মজুত করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরো রাত ধরে আগুন জ্বলতে থাকে। তেলের দোকানে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল এবং জেলেদের জাল মজুত থাকায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টার প্রয়োজন হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, আগুনে তাদের জাল এবং নৌকা পুড়ে গেছে, যার ফলে তাদের পুনরায় দাঁড়াতে কিছুটা সময় লাগবে।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। আগ্রাবাদ, বন্দর ও কেইপিজেড স্টেশনের সাতটি ইউনিট সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি, তবে জানা গেছে যে, ২৩টি জাল রাখার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক জানান, কী কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
What's Your Reaction?