ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী
হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) তাঁকে এ সিদ্ধান্তে সরিয়ে দেয়।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) তাঁকে এ সিদ্ধান্তে সরিয়ে দেয়।
কাউন্সিলের ৯ সদস্যের মধ্যে ৮ জনের স্বাক্ষর করা একটি নির্বাহী আদেশে কনিলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ব্যবসায়ী ও সাবেক সিনেট প্রার্থী অ্যালিক্স দিদিয়ার ফিলস এইমির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কনিল, যিনি জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা, চলমান নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, তিনি দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথ তৈরি করবেন, কারণ ২০১৬ সালের পর থেকে হাইতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি।
এক চিঠিতে কনিল দাবি করেন, তাঁকে অবৈধভাবে সরানো হয়েছে এবং হাইতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। রয়টার্স চিঠিটি দেখেছে।
হাইতিতে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নেই। হাইতির সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বরখাস্তের ক্ষমতা একমাত্র পার্লামেন্টের হাতে, কিন্তু তা না থাকা অবস্থায় টিপিসি এই দায়িত্ব নেয়।
গত ৩ জুন কনিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তাঁর পূর্বসূরি অ্যারিয়েল হ্যানরি সশস্ত্র গোষ্ঠীর চাপে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং এপ্রিল মাসে টিপিসি গঠিত হয়।
২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হেনরি একটি সম্মেলনে অংশ নিতে গায়ানা যাওয়ার পর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পোর্ট অব প্রিন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করে এবং তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি। টিপিসি এই পরিস্থিতিতে হাইতিতে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে হাইতিতে ৩,৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং ৫,০০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। হাইতিকে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল আট বছর আগে, যেখানে জোভেনেল মইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাইয়ে মইসির মৃত্যুর পর থেকে দেশটিতে ক্ষমতার কেন্দ্রে শূন্যতা বিরাজ করছে, যা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে উৎসাহিত করেছে।
What's Your Reaction?