তিন দফা দাবিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবি এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে গণপদযাত্রা শুরু করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবি এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে গণপদযাত্রা শুরু করেছে।
সোমবার, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শুরু হওয়া এই গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারা স্লোগান দিয়ে দাবি জানান, ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’।
আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব জানান, তারা আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চান।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো:
- স্বৈরাচারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে।
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)।
- অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাসের যে সব অনৈতিক চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে।
এদিকে, ৭ নভেম্বর ইউজিসি হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, যার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, "আমরা আমাদের দাবির ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে তিন দিনের একটি আলটিমেটাম দেবো এবং হিট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত জবাব দিতে হবে।"
এই সময়, শাখা ছাত্রশিবিরও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাদের সাথে যুক্ত হয়। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, "শিক্ষার্থীদের যেকোনো ন্যায্য আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা সরাসরি আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। দ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে হবে এবং হিট প্রকল্পে জবিয়ানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।"
What's Your Reaction?