তিন মাস পর অভ্যুত্থান নিয়ে তরুণদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অভ্যুত্থানের তিন মাস পর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কিছু হতাশা ও ক্ষোভের চিত্র লক্ষ্য করছেন বলে জানান। তিনি বলেন, "পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের চিন্তা ও ভাষার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছি। অভ্যুত্থানের পর তরুণদের মধ্যে কিছু হতাশা ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অভ্যুত্থানের তিন মাস পর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কিছু হতাশা ও ক্ষোভের চিত্র লক্ষ্য করছেন বলে জানান। তিনি বলেন, "পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের চিন্তা ও ভাষার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছি। অভ্যুত্থানের পর তরুণদের মধ্যে কিছু হতাশা ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।"
বুধবার রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত এ কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, উপজেলা পর্যায়ে মানুষের কথা শোনার ও তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে তেঁতুলিয়া থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের একটি মন্তব্য প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, "মির্জা আব্বাস সাহেব, আমার বয়স ২৬ বছর, আর আপনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আমার বাবার বয়স থেকেও বেশি। আপনারা ফ্যাসিস্ট সরকার উৎখাতের লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু আপনাদের প্রজন্মের নেতারা তরুণদের অবদান কটাক্ষ করছেন, যা প্রজন্মভিত্তিক সংঘাত তৈরি করছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের ৫ আগস্টের অবদানকে খাটো করে দেখা উচিত নয়।"
তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "গত ১৬ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আপনাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকেও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। যখন পরিস্থিতি সীমা ছাড়ায়, তখন তরুণরাই আগে রাস্তায় নামে। তাই আপনাদের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ এই তরুণ প্রজন্মকে সম্মান দেওয়া।"
বিএনপির সাম্প্রতিক অবস্থানের সমালোচনা করে হাসনাত আরও বলেন, "আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের কথা বলছেন, অথচ ওয়াশিম যদি বেঁচে থাকত, তাহলে কি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন? ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার নিশ্চিত না করে তাঁদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা তরুণদের রক্তের প্রতি অবিচার হবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, "আমেরিকায় কে নির্বাচিত হলো, তা দিয়ে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণ হবে না। বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণ হবে তরুণদের রক্তের ঋণের ভিত্তিতে। এখানে কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না, দেশের নীতি হবে ছাত্র-জনতার চিন্তা থেকে।
What's Your Reaction?