ফল ‘ড্র’ হলে কে যাবেন হোয়াইট হাউসে, কী বলছে নিয়ম?

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণের পর, সারা বিশ্ব নজর রাখবে হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দার দিকে। যদি কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফলাফলে কোনো সুস্পষ্ট পার্থক্য না থাকে এবং ভোট সংখ্যা ২৬৯-এ আটকে যায়, তবে একটি 'ত্রিশঙ্কু' পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।

Nov 5, 2024 - 10:25
 0  3
ফল ‘ড্র’ হলে কে যাবেন হোয়াইট হাউসে, কী বলছে নিয়ম?

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণের পর, সারা বিশ্ব নজর রাখবে হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দার দিকে। যদি কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফলাফলে কোনো সুস্পষ্ট পার্থক্য না থাকে এবং ভোট সংখ্যা ২৬৯-এ আটকে যায়, তবে একটি 'ত্রিশঙ্কু' পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া আইনসভায় (নিম্নকক্ষ) চলে যাবে। নিম্নকক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এবং সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোটারদের সরাসরি ভোটের (পপুলার ভোট) ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারিত হয় না। কেন্দ্রীয় নির্বাচনী লড়াইয়ের পরিবর্তে, জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে একটি রাজ্যে জয়ী হলে সেই প্রার্থী ওই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, টেক্সাসে ৪০ জন ইলেকটর আছেন; কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি বেশি পপুলার ভোট পাবেন, তিনিই ওই রাজ্যের ৪০ জন ইলেকটরকে পাবেন। মোট ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট ৫৩৮। যেই প্রার্থী ২৭০ বা তার বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

অতীতে এমন পরিস্থিতি খুব কমই দেখা গেছে, তবে দুই প্রার্থী ২৬৯ ভোটে আটকে যেতে পারে। যদি কমলা হ্যারিস উইসকনসিন, মিশিগান, এবং পেনসিলভেনিয়ার মতো দোদুল্যমান রাজ্যে জয়ী হন, এবং ট্রাম্প জয়ী হন জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা এবং একটি ইলেক্টোরাল কলেজ বিশিষ্ট নেব্রাসকায়, তবে উভয়েই ২৬৯-এ আটকে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাইডেনের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আইনসভায় চলে যাবে। আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টিটিভস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে এবং সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে।

কীভাবে হবে এই ভোট?

ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত ২৬টির সমর্থন পেতে হবে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টকে। প্রতিটি রাজ্য একটি করে ভোট দিতে পারবে। অর্থাৎ, ৫০টি ভোটের সিংহভাগ যিনি পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। তবে এই ভোটে একটি 'অসাম্য' রয়েছে, কারণ ক্যালিফোর্নিয়ার মতো জনবহুল রাজ্য এবং ওমিংয়ের মতো কম জনসংখ্যার রাজ্যের ভোটাধিকার সমান। বর্তমানে হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই 'টাইব্রেকার' ভোটে ট্রাম্প অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন।

১৮০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টমাস জেফারসন ও জন অ্যাডামসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অমীমাংসিত ছিল। এরপর থেকে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের কথা ভাবা হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow