বাজিতে জিতেছেন ইলন মাস্ক, দায়িত্ব পাচ্ছেন সরকারের ২ লাখ কোটি ডলার সাশ্রয়ের

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করে বড় বাজি ধরেছিলেন ইলন মাস্ক, এবং সেই বাজিতে জিতেও গেছেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং এখন পরবর্তী প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। তিনি সরকারের কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার আনার জন্য একটি নতুন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন।

Nov 13, 2024 - 10:35
 0  1
বাজিতে জিতেছেন ইলন মাস্ক, দায়িত্ব পাচ্ছেন সরকারের ২ লাখ কোটি ডলার সাশ্রয়ের
ইলন মাস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করে বড় বাজি ধরেছিলেন ইলন মাস্ক, এবং সেই বাজিতে জিতেও গেছেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং এখন পরবর্তী প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। তিনি সরকারের কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার আনার জন্য একটি নতুন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন।

আগেই ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন, নতুন গঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে দুই লাখ কোটি ডলার সাশ্রয় করবে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিশ্রুতি ঠিক তার ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির মতোই, যা তার সম্পদকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে চলেছে। তবে নতুন বিভাগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন সরকারি সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক কীভাবে নিজের বিশাল ব্যবসাগুলো, যেমন স্পেসএক্স এবং টেসলা পরিচালনা করবেন। এছাড়া মাস্কের সব ব্যবসা কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ কারণে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে যে, তিনি কীভাবে স্বার্থের সংঘাত এড়িয়ে চলবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় বলেছেন, মাস্ক এবং তার আরেক ধনী সহযোগী বিবেক রামাস্বামী যৌথভাবে নতুন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁরা সরকারের বাইরে থেকে উপদেশ ও পথনির্দেশনা প্রদান করবেন।

এছাড়া, রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন করা এবং তাকে জয়ী করতে সাহায্য করা ইলন মাস্কের জন্য একটি রাজনৈতিক বিবর্তন ছিল। ৫৩ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, এক সময় ইলেকট্রিক গাড়ি শিল্পের প্রতীক ছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তিনি প্রায়ই সোচ্চার ছিলেন এবং ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন, তখন তিনি প্রেসিডেন্টের দুটি পরামর্শক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে কিছু বছর পর তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি সমর্থনকারী হয়ে ওঠেন এবং 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' প্রচারণায় তার সমর্থন দেন।

খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে জয়ী করতে ১০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছেন ইলন মাস্ক, যা তার ৩০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদের তুলনায় কিছুই নয়। মাস্ক তার প্রভাবকেও কাজে লাগিয়েছেন, বিশেষ করে এক্স (পূর্বে টুইটার) মাধ্যমে যেখানে তার ২০ কোটি অনুসারী রয়েছে, তাদের কাছে তিনি ট্রাম্পের পক্ষে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

এদিকে, মাস্কের জীবনযাত্রা এবং অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে কিছু বিতর্কও উঠেছে। ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় জন্ম নেওয়া মাস্ক কিশোর বয়সে কানাডা চলে যান এবং পরে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা ও ব্যবসায় স্নাতক করেন। তিনি একাধিক কোম্পানি গঠন করেছেন, যার মধ্যে জিপ২, পেপাল এবং স্পেসএক্স অন্যতম। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন, এবং এখন তিনি টেসলার চেয়ারম্যানও।

মাস্কের মার্কিন, কানাডিয়ান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকত্ব রয়েছে এবং তার ১২ সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে একজন শিশু অবস্থায় মারা গেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow