বিএনপির ৩ ডজন নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী, জানা গেল নাম
রাজশাহীতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। যদিও নির্বাচন তারিখ ঘোষণা হয়নি, তবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রায় ৩০ জন প্রার্থী তৎপর আছেন। তারা নিয়মিত নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন।
রাজশাহীতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। যদিও নির্বাচন তারিখ ঘোষণা হয়নি, তবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রায় ৩০ জন প্রার্থী তৎপর আছেন। তারা নিয়মিত নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে জামায়াত ইতোমধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে এবং বাকিগুলোতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন- রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে অধ্যাপক মো. নাজমুল হক। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এমাজ উদ্দীন মন্ডল জানান, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, কারণ প্রার্থী অধ্যাপক মাজেদুর রহমান মারা গেছেন।
রাজশাহী-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন। তিনি বিএনপির নেতা, প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। তার অনুসারীরা জানিয়েছেন, শরীফ উদ্দীন ইতোমধ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের টানা ১৭ বছর মেয়র ছিলেন এবং একবার এমপিও নির্বাচিত হন। মিনু আশাবাদী, তার কাজের ফলস্বরূপ এই আসন থেকে আবারও মনোনয়ন পাবেন।
জাতীয় পার্টির নেতাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন জানিয়েছেন, তিনি শুধু রাজশাহী-২ আসনে নয়, রাজশাহী-১ ও ৩ আসনেও প্রার্থী হতে চান।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে দীর্ঘদিন ধরে মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। তিনি ২০১৮ সালে এই আসন থেকে নির্বাচন করেছেন এবং এবারও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মাঠে রয়েছেন। অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রায়হান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, এবং প্রয়াত অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন ডিএম জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক কামাল হোসেন, রেজাউল করিম টুটুল এবং প্রবাসী বিএনপি নেতা জাহিদ দেওয়ান শামীম।
রাজশাহী-5 (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে অন্যতম হলেন সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মন্ডল এবং সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলকার নাঈম মোস্তফা বিস্ময়।
রাজশাহী-6 (বাঘা-চারঘাট) আসনে দলীয় নেতা আবু সাঈদ চাঁদ এবং অন্যান্য প্রার্থীরা নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, এখনও মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি, তবে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
What's Your Reaction?