বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে অবৈধ ইটভাটা
রাজশাহীতে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই নেই লাইসেন্স বা পরিবেশ ছাড়পত্র। প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং ফসলি জমি উজাড় করে এসব ভাটাগুলি পরিচালিত হচ্ছে। উর্বর জমির টপ সয়েল কেটে অবাধে সেখানে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে এসব অবৈধ ভাটা চালানোর জন্য ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করছে, যার ফলে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বছরের পর বছর অব্যাহত থাকছে। তবে, যেসব ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে, সেগুলোও পরিবেশ সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশনা মানছে না। এসব ভাটার কারণে রাজশাহীতে পরিবেশদূষণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
রাজশাহীতে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই নেই লাইসেন্স বা পরিবেশ ছাড়পত্র। প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং ফসলি জমি উজাড় করে এসব ভাটাগুলি পরিচালিত হচ্ছে। উর্বর জমির টপ সয়েল কেটে অবাধে সেখানে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে এসব অবৈধ ভাটা চালানোর জন্য ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করছে, যার ফলে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বছরের পর বছর অব্যাহত থাকছে। তবে, যেসব ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে, সেগুলোও পরিবেশ সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশনা মানছে না। এসব ভাটার কারণে রাজশাহীতে পরিবেশদূষণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কাগজে-কলমে রাজশাহীতে ইটভাটা রয়েছে ১৩৬টি, তবে বাস্তবে আরও শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, ১৩৬টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৩০টিরই লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে, বাকিগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী এবং পবা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পবায় এককভাবে ৫০টিরও বেশি ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যা প্রায় সবই ফসলি জমি ও আমবাগানে স্থাপিত হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটাগুলোর অবস্থা দেখলে দেখা যায়, এসব ভাটায় মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে শত শত ট্রলি ও ট্রাক্টর, যা রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। মাটি এবং ইটবাহী ট্রাক্টর ও ট্রলির ধাক্কায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুর্ঘটনার হার বেড়েছে।
আইন অনুসারে, ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও রাজশাহীতে অধিকাংশ ভাটা গড়ে উঠেছে দুই বা তিন ফসলি জমিতে। পরিবেশ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বারবার এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন।
রাজশাহীর ইটভাটা মালিকদের দাবি, তাদের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স পেতে আইনি প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তারা প্রশাসন ও পরিবেশ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে বৈধভাবে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, কিন্তু হঠাৎ করে ভাটা বন্ধ করা হলে তাদের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই আইন অমান্যকারী ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
What's Your Reaction?