মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে আবারও গাড়ি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
পথচারী, যাত্রী ও কয়েকজন গাড়িচালকের অভিযোগ, ডাকাতদলটি কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি মারধর করে স্বর্ণালংকার ও অর্থ লুট করে। এই হামলার ঘটনায় যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, সহকারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতের দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের শুকুরকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা হলেন গাংনী উপজেলা শহরের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং হাসান আলী (৪৯)। তাঁদের প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি ঘটলে উভয়কেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসান আলীর ভাই সুমন আলী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটি শুকুরকান্দি এলাকায় পৌঁছালে ১৮ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাতদল সড়কের ওপর গাছ ফেলে যাত্রীদের মারধর শুরু করে। এই হামলায় তাঁর ভাইসহ দুই যাত্রী আহত হন। ডাকাতেরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়।
যাত্রী সাজেদুল ইসলাম বলেন, ওই সময়ে সড়কে চলাচলকারী মাইক্রোবাস, আলগামন ও নছিমনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ডাকাতদল। তাঁদের কাছ থেকেও সবকিছু ছিনতাই করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এর আগে আকবপুর ও শুকুরকান্দি এলাকায় পুলিশের টহল থাকলেও বর্তমানে রাতের বেলায় পুলিশ দেখা যায় না, যা ডাকাতদলের কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবদুল করিম জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। তিনি বলেন, ডাকাতদের হামলায় দুজন আহত হয়েছেন এবং পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে একটি ট্রাক খাদে পড়ে যায়। ডাকাতদলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত দুইটার দিকে একই স্থানে সড়কের ওপর গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। ওই ডাকাতদলের সদস্যরা হাফপ্যান্ট ও লুঙ্গি পরে গামছা-মাফলার দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেশি অস্ত্র, রামদা ও হাঁসুয়া নিয়ে পথচারী ও যানবাহন থামিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চালায়। ওই দিন শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর সহকারী রহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ডাকাতেরা।