সোনার দামে হঠাৎ কেন পতন?
বিশ্ববাজারে সোনার দাম রেকর্ড গড়ার পর এবার বড় ধরনের দরপতনের মধ্যে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল, ডলারের বিনিময় হারসহ বিভিন্ন কারণে সোনার দাম কমছে। কিছুদিন আগেও প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে এখন সেই ধারা বিপরীতমুখী।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম রেকর্ড গড়ার পর এবার বড় ধরনের দরপতনের মধ্যে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল, ডলারের বিনিময় হারসহ বিভিন্ন কারণে সোনার দাম কমছে। কিছুদিন আগেও প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছরের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে এখন সেই ধারা বিপরীতমুখী।
বর্তমান পরিস্থিতি
বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম নেমে এসেছে ২ হাজার ৫০০ ডলারের ঘরে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, দ্রুত বাড়তে থাকা সোনার দামের এই পতন কেন ঘটছে?
মূল কারণ
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ায় সোনার দাম কমছে। স্পট মার্কেটে সোনার দাম আগের দিনের তুলনায় ০.১৩ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ২ হাজার ৫৬১ ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, ডলারের মান বৃদ্ধি এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা কমে আসায় সোনার দাম কমতে শুরু করেছে।
ডলারের মান বৃদ্ধির প্রভাব
মার্কিন নির্বাচন শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে। ট্রাম্পের ডিজিটাল মুদ্রা-বান্ধব নীতির প্রত্যাশায় বিটকয়েনের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেওয়ার কারণে অনেক বিনিয়োগকারী সোনার বদলে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করছেন।
দেশীয় বাজারে প্রভাব
বাংলাদেশে চলতি বছরে সোনার দাম ৪৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ২১ বার কমানো হয়েছে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৯ বার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে সোনার দামের এই পতন সাময়িক হলেও ডলারের মান এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
What's Your Reaction?