আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

স্টোরেজে পর্যাপ্ত আলুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে এবং এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ১০ জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)। একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

Nov 19, 2024 - 03:49
 0  0
আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

আলু সিন্ডিকেটের প্রতিবাদে ১০ জেলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

স্টোরেজে পর্যাপ্ত আলুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে এবং এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ১০ জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)। একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, রংপুর, মৌলভীবাজার এবং কিশোরগঞ্জে সিসিএস ও সিওয়াইবির স্বেচ্ছাসেবীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত এক মাস ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা মজুদকৃত আলুর সরবরাহ হ্রাস করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে এবং অযৌক্তিকভাবে আলুর দাম বাড়াচ্ছে।

সিন্ডিকেটের অপকৌশল

স্মারকলিপির তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়, যার ক্রয়মূল্য ছিল কেজি প্রতি ১৮-২০ টাকা। স্টোরেজ খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি ১৮০-৩৪০ টাকার মধ্যে। তবে বর্তমানে মজুদদার ও ফড়িয়াদের যোগসাজশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ভোক্তা সাধারণ চরম বিপাকে পড়েছেন।

পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সংকট

সিসিএস জানিয়েছে, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন, যেখানে এবছর ১ কোটিরও বেশি টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুদ রয়েছে, যা বছরের বাকি সময়ের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। তা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট মজুদ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পাকা রশিদ সংরক্ষণ না করায় বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

দাবিসমূহ

সিসিএস ও সিওয়াইবি দাবি করেছে,

  • কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বিপণন বন্ধ করতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট ম্যানেজার, মজুদদার, এবং ফড়িয়াদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
  • আলুর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিবাদের গুরুত্ব

এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভোক্তারা সচেতন হয়ে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজারে আলুর মূল্য আরও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow