ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক পরিবারের সবাই নিহত
ফিলিস্তিনের গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের মা-বাবা, সন্তান, নাতি-নাতনি সহ সব সদস্যই রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের মা-বাবা, সন্তান, নাতি-নাতনি সহ সব সদস্যই রয়েছেন।
গাজার স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ছয়টায় শিবিরটিতে এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সবাই ওই শিবিরের বাসিন্দা।
ইসরায়েল কোনো পূর্বসতর্কতামূলক বার্তা না দিয়েই শিবিরের একটি ভবনে এই হামলা চালায়, যখন লোকজন ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ভবনটিতে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী ছিলেন, যারা উত্তর গাজা থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, গাজার সাধারণ মানুষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিলেও ইসরায়েলের বোমা হামলা থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি না হওয়ায় মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নির্মম এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বেসামরিক লোকজনের চলমান দুর্দশার অবসানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যখন সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখাবে, তখনই আবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার মধ্যস্থতায় ফিরবে তারা।
বিস্তারিত উল্লেখ না করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে ব্ল্যাকমেল করার হাতিয়ার বানানোকে কাতার মেনে নেবে না। তারা বলেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধকে বৈধতা দিতে ও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চলতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দোহায় হামাসের কার্যালয় নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সঠিক নয়। তবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি মন্ত্রণালয়।
এর আগে কাতার থেকে হামাসের নেতাদের সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আহ্বান জানানো হয়েছে এবং দোহা এ বার্তা সংগঠনটির কাছে পৌঁছে দিয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এপি। এরপরই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হলো।
তবে হামাস কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁদের নেতাদের দেশটিতে আর স্বাগত জানানো হবে না, এমন কোনো বার্তা কাতারের কাছ থেকে তাঁরা পাননি।
What's Your Reaction?