চলতি বছরে দুই লাখ ভিসা দেওয়ার পথে জার্মানি
চলতি বছরে জার্মানি দক্ষ কর্মপ্রার্থীদের প্রায় দুই লাখ ভিসা ইস্যু করতে চলেছে। এটি গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। রোববার প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য বিপুল সুযোগ: দুই লাখ ভিসা ইস্যু হতে যাচ্ছে
চলতি বছরে জার্মানি দক্ষ কর্মপ্রার্থীদের প্রায় দুই লাখ ভিসা ইস্যু করতে চলেছে। এটি গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। রোববার প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অভিবাসন আইন সহজ করায় সুফল
জার্মানি দক্ষ জনবল সংকট মোকাবিলায় অভিবাসন আইনকে আরও সহজ করেছে। কানাডার মতো পয়েন্ট ভিত্তিক ‘অপরচুনিটি কার্ড’ পদ্ধতির মাধ্যমে এখন বিদেশি পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা সহজেই জার্মানিতে কাজ এবং পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিশাল শূন্যপদের চাহিদা
বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে সেখানে ১৬ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে ৮৯ শতাংশ বিদেশিদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।
অভিবাসন আইনের প্রভাব
সরকার জানিয়েছে, নন-ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ) শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যু করার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। শিক্ষানবিশ ভিসার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং বিদেশি পেশাদার সার্টিফিকেট স্বীকৃতির হার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রীদের মন্তব্য
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেছেন, “মেধাবী তরুণরা এখন আরও সহজে জার্মানিতে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারছেন।”
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, “জার্মানির দক্ষ অভিবাসন আইন ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক।”
অপরচুনিটি কার্ড: নতুন সম্ভাবনার দরজা
যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান ভিত্তিক পয়েন্ট সিস্টেমে ‘অপরচুনিটি কার্ড’ প্রদান করা হয়। এই কার্ডধারীরা জার্মানিতে এসে কাজ খোঁজার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ পান।
অপরচুনিটি কার্ডের বৈশিষ্ট্য
- আবেদনকারীর শর্ত:
- জার্মানিতে অবস্থানকালীন প্রতি মাসে অন্তত ১,০০০ ইউরো খরচ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
- প্রাথমিক মেয়াদ:
- সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি।
- প্রয়োজনে কার্ডের মেয়াদ আরও দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।
- চাকরি খোঁজার সুযোগ:
- সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ।
- প্রতি কোম্পানিতে দুই সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করার সুযোগ।
জার্মানির এই উদ্যোগ দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
What's Your Reaction?