নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা: বিএনপির পরবর্তী কৌশল কী?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার নিষ্পত্তি 'ধীরগতি'তে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার নিষ্পত্তি 'ধীরগতি'তে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী ৭ নভেম্বর। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া এখনও ধীরগতিতে চলছে। ফলে কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকটি মামলার নিষ্পত্তি হলেও প্রায় দেড় লাখ মামলা এখনও বহাল রয়েছে। বিএনপির দাবি, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গায়েবি বলে গণ্য। পরিস্থিতির পরিবর্তন সত্ত্বেও এখনও আদালতে নিয়মিতভাবে নেতাকর্মীদের উপস্থিত হতে হচ্ছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি কিংবা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সরকার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে সঠিক পর্যালোচনার জন্য দুই স্তরের কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের জন্য কাজ করবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে অনেক বিএনপি নেতারা বলছেন, বাস্তবে কার্যকর উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "শেখ হাসিনার পতনের পর যারা সবকিছু ত্যাগ করে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়ে গেছে কেন? শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে।"
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবিগুলো:
- দ্রুত রাজনৈতিক মামলাগুলোর সমাধান করা
- বিশেষভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি
- রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, আন্দোলনের পরও রাজনৈতিক হয়রানির মামলা সমাধান না হলে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
What's Your Reaction?