মাদারীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি কর্মীর মৃত্যু
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিএনপি কর্মী মো. সুজন সরদার (৩২) ‘বোমা হামলায়’ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিএনপি কর্মী মো. সুজন সরদার (৩২) ‘বোমা হামলায়’ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুজন সরদার কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের মিজানুর রহমান সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা বাজারে বিএনপির উদ্যোগে জিয়া মঞ্চের একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে কালকিনি উপজেলা সদর থেকে রওনা দেন। তারা খালেকেরহাট এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে তাদের ওপর ‘বোমা হামলা’ হয়। এতে সুজন সরদার, শামীম বেপারীসহ ৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সুজন সরদারের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, “জিয়া মঞ্চের প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক সরদারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন বিএনপি কর্মীদের ওপর হঠাৎ বোমা হামলা চালায়। এই ঘটনায় ৫-৭ জন নেতা-কর্মী আহত হন। গুরুতর আহত সুজন সরদারকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল, এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এদিকে, অভিযুক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. সিরাজুল হক সরদার বলেন, “আমি ঢাকায় আছি। এই হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, “আমরা জানতে পেরেছি সুজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তবে আমরা ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। পুলিশ পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
What's Your Reaction?