বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, ধানমন্ডি ও গুলশান থানায় দায়ের করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক আইজিপি সহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের হয় ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে অন্তত ২১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে ১৮৭টি হত্যার অভিযোগে মামলা।
গুলশানে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর গুলশানে আবদুল গনি নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ১৯ জুলাই গুলশানে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন আবদুল গনি, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ধানমন্ডিতে যুবককে গুলি করে হত্যা
ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড এলাকায় হাসনাইন আহম্মেদ নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রাতে মিছিলের সময় হামলার শিকার হন হাসনাইন, পরে তিনি মারা যান।
মিরপুরে যুবক গুলিবিদ্ধ
মিরপুরে আজাদ হোসেন নামের এক যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৪ আগস্ট মিরপুরে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আজাদ হোসেন, এবং পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান।
যাত্রাবাড়ীতে গুলি করে হত্যা চেষ্টা
যাত্রাবাড়ীতে শুক্কুর আলী রনি নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ১৮ জুলাই আন্দোলনে হামলার সময় শুক্কুর আলী গুলিবিদ্ধ হন।
এ মামলাগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং এর পরবর্তী তদন্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।