রাজধানীতে যেন চলছে হর্ণ বাজানোর প্রতিযোগিতা, নিরুপায় নগরবাসী
ফারহানা ন্যান্সি: যারা রাজধানীর রাস্তায় অহরহ হর্ণ বাজিয়ে যাচ্ছেন, তারা কি আসলেই সচেতন? নিজেদের ক্ষতি তো করছেনই, হর্ণের অতিষ্ট শব্দে অন্যদের কী ক্ষতি হচ্ছে, তা তাদের কী মনে হয়?
ফারহানা ন্যান্সি:
যারা রাজধানীর রাস্তায় অহরহ হর্ণ বাজিয়ে যাচ্ছেন, তারা কি আসলেই সচেতন? নিজেদের ক্ষতি তো করছেনই, হর্ণের অতিষ্ট শব্দে অন্যদের কী ক্ষতি হচ্ছে, তা তাদের কী মনে হয়?
রাজধানীর রাস্তায় সড়ক ব্যবহারকারী অনেকেই মনে করেন, ১০ সেকেন্ডও ধৈর্য রাখা সম্ভব নয়। এখন রাস্তায় কারণ-অকারণে হর্ণ বাজানো যেন এক সওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চালকদের নিজেরা নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। তারা সড়কে যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়া এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমস্যা উল্লেখ করছেন।
একজন বাস চালক যমুনা টেলিভিশনকে জানান, "ঠেকায় পড়ে হর্ণ বাজাতে হয়। এটা অনেকটা পরিস্থিতির শিকার হওয়া। মানুষ রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে, আর রিকশা রাস্তা থেকে নড়তে চায় না। বাধ্য হয়ে হর্ণ বাজাতে হয়।"
অনেকেই জানেন যে, শব্দদূষণে নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও, কখনো অকারণে, কখনো স্বভাবগতভাবে চালকরা হর্ণ বাজাচ্ছেন। যারা এতে ভুক্তভোগী, তারা অনেকটা নিরুপায় হয়ে এটি মেনে নিয়েছেন। যেন, এই নগরে এমনভাবে চলতে হবে।
বিকট এবং অনবরত হর্ণের শব্দদূষণে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট হওয়ার মতো নানা শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। শব্দদূষণকারী এবং এর শিকার দুই পক্ষই প্রতিকার চাচ্ছে। নগরবাসীকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং একে অপরের অধিকার ও সুস্থ পরিবেশের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
What's Your Reaction?