গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৫০

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজারে পৌঁছেছে। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪,৭৫৮ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬,১৩৪ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৫০ জন নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন; কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, গাজা উপত্যকায় ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নিষ্ঠুর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের অনন্য আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

অতিরিক্তভাবে, ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের নিষ্ঠুর আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি তাদের বাসস্থান হারিয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন।

এছাড়াও, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।