তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ, সিয়েরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের হাত’ পুতিনের
‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় থাকা তালেবান এবং হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস) নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং অনেকের মতে, রাশিয়ার নতুন আইন কার্যকর হলে, ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এই দুই গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।
‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় থাকা তালেবান এবং হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস) নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং অনেকের মতে, রাশিয়ার নতুন আইন কার্যকর হলে, ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এই দুই গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।
আফগানিস্তানের তালেবান হোক বা সিরিয়ায় নতুন ‘বিদ্রোহী’ সরকার— রাশিয়া দুই দেশকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাচ্ছে। এই সম্পর্ক গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়া এখন তালেবানদের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়ার সংসদে পাশ হওয়া নতুন আইন এ সরকারের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে যেসব গোষ্ঠীকে রাশিয়া ‘সন্ত্রাসী’ বলে নিষিদ্ধ করেছে, কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে তা তুলে নেওয়া হবে। নতুন আইনের আওতায় আদালতকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে রাশিয়ার ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় থাকা দুটি গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী হলো তালেবান এবং হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস)। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, রাশিয়ার নতুন আইন কার্যকর হলে এই দুই গোষ্ঠীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো গোষ্ঠী সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়, তবে তা ‘সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিচার করা হবে।
২০০৩ সালে রাশিয়া প্রথম তালেবানসহ বেশ কিছু গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকারকে উৎখাত করে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণ করে। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে কোনো দেশই তালেবানকে সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এই অবস্থায়, যদি রাশিয়া তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেয়, তাহলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস)-এর বিষয়ে একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। ২০২০ সালে রাশিয়া এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে সম্প্রতি সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছে বিদ্রোহীরা, যার মধ্যে এইচটিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদ্রোহীরা দামাস্কাস দখল করার পর বাশার আল আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। তবে, এই পরিবর্তনের পরও রাশিয়া সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে আগ্রহী।
What's Your Reaction?