সমন্বিত ডিজিটাল উদ্ভাবনে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার অনুরোধ
ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে একসাথে কাজ করার বিকল্প নেই। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই বিভাজন দূর করা সম্ভব নয়, এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অপরিহার্য। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলমান ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (আইজিএফ) ২০২৪-এর বিভিন্ন সেশনে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ইন্টারনেট বিশ্লেষক এবং বৈশ্বিক নেতারা একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে একসাথে কাজ করার বিকল্প নেই। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই বিভাজন দূর করা সম্ভব নয়, এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অপরিহার্য। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলমান ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (আইজিএফ) ২০২৪-এর বিভিন্ন সেশনে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ইন্টারনেট বিশ্লেষক এবং বৈশ্বিক নেতারা একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজনের তৃতীয় দিনে, ‘সমন্বিত ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং রূপান্তর’ শীর্ষক একটি সেমিনারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) চিফ ডিজিটাল অফিসার রবার্ট ওপ বলেন, "ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য আমাদের দরকার দৃঢ় অবকাঠামো, যা উদ্ভাবনের সহায়ক হবে।" তিনি জানান, ইউএনডিপি বর্তমানে ১২৫টি দেশে কাজ করছে, এবং এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হচ্ছে কেনিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের এআই এবং ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান।
তিনি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা ডিজিটাল যুগে মানবাধিকার এবং নৈতিক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, "আমরা চাই সবাই মিলে বিভাজন দূর করতে এগিয়ে আসুক এবং কোনো দেশ বা জাতিকে পিছিয়ে পড়তে না দেখুক।"
ইতালির ডিজিটাল এজেন্সি এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএফইও)-এর নেতারাও এই আলোচনায় অংশ নেন।
ইতালির ডিজিটাল এজেন্সির পরিচালক মারিও নোবিলি বলেন, "ইতালিতে বর্তমানে ৩৬ মিলিয়ন নাগরিক ডিজিটাল আইডি ব্যবহার করছেন এবং বছরে ২ বিলিয়ন ই-চালান প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের কারণে আইনি কাঠামোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে, তাই নাগরিকদের ডিজিটাল জ্ঞান নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
ডব্লিউএফইও-এর প্রেসিডেন্ট গংকে বলেন, "ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সমাধান তৈরি করা এবং এআই ব্যবহারে মানবিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা জরুরি।" তিনি আফ্রিকার এক লাখ ইঞ্জিনিয়ারকে এআই প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন।
সেশনের শেষে বক্তারা একমত হন যে, ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং শিক্ষায় বিনিয়োগ অপরিহার্য। গং সংক্ষেপে বলেন, "উদ্ভাবন ও দায়িত্বশীলতাকে একসাথে মিলিয়ে আমরা সবার জন্য একটি সমন্বিত ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।"
What's Your Reaction?