৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে
ঘন কুয়াশা এবং দুইটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়, তবে ধীর গতিতে চলাচল অব্যাহত ছিল।
ঘন কুয়াশা এবং দুইটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়, তবে ধীর গতিতে চলাচল অব্যাহত ছিল।
বুধবার রাত ১২টার দিকে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজের কাছে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩-১৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রী ও চালকরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে, যানজটের কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে থাকে। এতে সেখানেও যানজট সৃষ্টি হয়।
পুলিশ এবং যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজের কাছে সংঘর্ষের পর এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব সিঙ্গেল লেন থাকার কারণে দ্রুত যানজট সৃষ্টি হয়।
এই কারণে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় একাধিকবার টোল আদায় বন্ধ করা হয়, এবং দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক দুটি সরাতে সময় লাগে। তবে, পুলিশ এবং সেতু কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ট্রাক দুটি সরানো হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানিয়েছেন, দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, ঘন কুয়াশা এবং টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছিল। তবে ট্রাক দুটি সরানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধীর গতিতে চলছিল।
What's Your Reaction?