এক হালি গোল হজমে ৫২ ম্যাচের কীর্তি ভাঙল সিটির
প্রিমিয়ার লিগের টানা চার আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি এখন কোন পরিস্থিতিতে? গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি তাদের সবচেয়ে বাজে সময়। গত ম্যাচে টানা চারটি হারের রেকর্ড গড়ার পর, এবার নিজেদের মাঠে হারতে হলো সিটিজেনদের। আর শুধু হার নয়, ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিপক্ষে একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে তারা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারটি মেনেছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে।
প্রিমিয়ার লিগের টানা চার আসরের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি এখন কোন পরিস্থিতিতে? গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি তাদের সবচেয়ে বাজে সময়। গত ম্যাচে টানা চারটি হারের রেকর্ড গড়ার পর, এবার নিজেদের মাঠে হারতে হলো সিটিজেনদের। আর শুধু হার নয়, ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিপক্ষে একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে তারা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারটি মেনেছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে।
এর আগে ২০০৩ সালে, আর্সেনালের বিপক্ষে সিটি চার গোল বা তার বেশি খেয়ে হেরেছিল। তখন সেই ম্যাচটি ছিল তাদের পুরনো ঘরের মাঠ মেইন রোডে। কিন্তু এবার, ইতিহাদে টটেনহ্যামের বিপক্ষে এমন হতাশাজনক পরাজয়ে সিটির কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন সফরকারী মিডফিল্ডার জেমস ম্যাডিসন। পেদ্রো পোরো এবং ব্রেনান জনসন একটি করে গোল করে সিটির বিপর্যয় আরও গভীর করে তোলেন।
ইতিহাদে এদিন শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা সিটিকে মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে দুই বার আঘাত করেন ম্যাডিসন। প্রথম গোলটি আসে ১৩ মিনিটে, এরপর ২০ মিনিটে আবার গোল করে সিটির রক্ষণভাগকে একেবারে ভেঙে দেন তিনি। প্রথমার্ধে সিটির পক্ষে কোন জবাব ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে সিটি ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশা ছিল সমর্থকদের, কিন্তু খুব দ্রুতই সেই আশা মাটিতে পড়ে। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পেদ্রো পোরোর গোল সিটিকে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। পরে যোগ করা সময়ে ব্রেনান জনসন গোল করে সিটির কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন, আর ৪–০ ব্যবধানে সিটির বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়।
২০০৬ সালের পর এটি প্রথমবার সিটি টানা পাঁচ ম্যাচ হারল। কেবল তাই নয়, ২০০৩ সালে আর্সেনালের কাছে ৫–১ গোলের পর, সিটির ঘরের মাঠে এটিই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় হার। আর এই হারে সিটি ইতিহাদে টানা ৫২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর প্রথম হার পেলো।
এই পরাজয়ে সিটির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১২ ম্যাচে ২৩। তবে এখনও আশার কথা, সিটি টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ২৮।
What's Your Reaction?