রাবি অধ্যাপক ভাস্কর্য দুটি হস্তান্তর করলেন, স্থান হবে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প এবং শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন জোসি তার বিক্রি করা দুটি মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য আবার নিজের ল্যাবে ফিরিয়ে এনেছেন। ভাস্কর্য দুটি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অধ্যাপকের অনুরোধে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. খোকন রোববার সকালে এই ভাস্কর্য দুটি অধ্যাপকের ল্যাবে ফেরত দেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প এবং শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন জোসি তার বিক্রি করা দুটি মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য আবার নিজের ল্যাবে ফিরিয়ে এনেছেন। ভাস্কর্য দুটি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অধ্যাপকের অনুরোধে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. খোকন রোববার সকালে এই ভাস্কর্য দুটি অধ্যাপকের ল্যাবে ফেরত দেন।
অধ্যাপক জোসি জানিয়েছেন, ভাস্কর্য দুটি এখন কুড়িগ্রামের বরেণ্য আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকনের প্রতিষ্ঠা করা উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে স্থান পাবে। এই আইনজীবী তার প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ, আঞ্চলিক ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের নিদর্শন সংরক্ষণ করেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) এস এম আব্রাহাম লিংকন ভাস্কর্য দুটি জাদুঘরের জন্য নিতে চাইলে তাদের মধ্যে মোবাইলে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভাস্কর্য বিক্রির বিষয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর অধ্যাপক জোসি ব্যাখ্যা দেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলো স্থাপন করা সম্ভব ছিল না, তাই নামমাত্র মূল্যে এগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে তিনি বোঝেননি যে ভাস্কর্য দুটি দোকানের সামনে রাখা হলে তা এত বড় আলোচনার জন্ম দেবে।
অধ্যাপক জোসি বলেন, “বিষয়টি অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়াতে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এর সঙ্গে কোনো রাজনীতি নেই। আমি খুবই খুশি যে ভাস্কর্য দুটি এখন একটি ভালো জায়গায় সংরক্ষিত হবে।” তিনি জানান, যে মূল্যে ভাস্কর্য বিক্রি করা হয়েছিল, সেই অর্থ এবং পরিবহনের খরচ তিনি ব্যবসায়ীকে পরিশোধ করেছেন।
এস এম আব্রাহাম লিংকন তার কুড়িগ্রামের ‘লিংকনস ইন’ নামের বাড়িতে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ, আঞ্চলিক ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের নানান নিদর্শন সংরক্ষণ করা হয়। ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা এই জাদুঘর আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে একুশে পদক এবং ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
অধ্যাপক জোসি বলেন, “ভাস্কর্য দুটি যত্ন সহকারে ল্যাবে রাখা হয়েছে এবং খুব দ্রুতই কুড়িগ্রামে পাঠানো হবে। আমি আনন্দিত যে এটি একটি সম্মানজনক জায়গায় সংরক্ষণ করা হবে।”
এই ঘটনাটি শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বই তুলে ধরেনি, বরং দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যক্তিগত উদ্যোগের ভূমিকারও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
What's Your Reaction?