এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা আদানির বিরুদ্ধে

গৌতম আদানির জন্য যেন সমস্যার শেষ নেই। এর আগেও সেবি ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের প্রেক্ষাপটে 'ক্লিনচিট' পেয়েছিলেন তিনি, তবে এবার নতুন করে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলায় তার নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবারও আদানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি, যিনি এর আগে আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের সময়ও সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন।

Nov 25, 2024 - 03:36
 0  0
এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা আদানির বিরুদ্ধে

গৌতম আদানির জন্য যেন সমস্যার শেষ নেই। এর আগেও সেবি ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের প্রেক্ষাপটে 'ক্লিনচিট' পেয়েছিলেন তিনি, তবে এবার নতুন করে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলায় তার নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবারও আদানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি, যিনি এর আগে আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের সময়ও সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন।

এদিকে, ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানিকে ইতিমধ্যেই তলব নোটিশ পাঠিয়েছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC)। এই নোটিশ গৌতম আদানির আমদাবাদের শান্তিবন ফার্মের বাড়ি এবং সাগর আদানির বোড়াকেভের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে যে, গৌতম আদানি ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ২৬.৫ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় গৌতম আদানি এবং তার ভাতিজাসহ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ী অভিযুক্ত হয়েছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা ও কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।

এ মামলায় গৌতম আদানি, সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আদানির মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, "মার্কিন বিচার বিভাগ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, এবং আমরা তা অস্বীকার করছি। তাছাড়া, মার্কিন বিচার বিভাগ তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে এই অভিযোগগুলি শুধুমাত্র ধারণা এবং অভিযুক্তরা ততক্ষণ নির্দোষ হিসেবে গণ্য হবেন যতক্ষণ না এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়।"

অন্যদিকে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে যে তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে বাজার থেকে টাকা তুলেছে।

তবে দাবি করা হচ্ছে যে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠী ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এর ফলে আদানি গ্রুপ লাভজনক সৌরশক্তি সরবরাহের চুক্তি লাভ করে, যার মাধ্যমে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow