"আইনজীবী হত্যায় ইসকন কি বলছে, পুলিশ চালাচ্ছে তদন্ত
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, এবং এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘটনার তদন্ত ও আইনানুগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার তদন্ত, সনাতন সংগঠনের বিবৃতি ও পুলিশি অভিযান
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, এবং এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘটনার তদন্ত ও আইনানুগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর আদালত চত্বরে বিক্ষুব্ধ তার অনুসারীরা প্রিজনভ্যানের চারপাশে শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে, এতে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের পর প্রায় ৩০০ মিটার দূরে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের কাছে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা সাইফুল ইসলামকে তার চেম্বার থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।
এদিকে, চট্টগ্রাম ইসকন প্রবর্তক মন্দিরের সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, “এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আমাদের কাছে কোনো লাঠি ছিল না।” বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সুমন রায় এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের হিন্দু মনে করে হামলা চালানোর দাবি করেছেন।
পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মো. রইস উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, "হত্যাকারী কারা, সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।" সংঘর্ষে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চট্টগ্রামের চমেক হাসপাতালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আরও আটজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ এবং ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধিরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও কিছু দুর্বৃত্ত আন্দোলনকে সহিংস করতে চাইছে।
এদিকে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং যথাযথ তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি জনগণকে শান্ত থাকার এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, যিনি সম্প্রতি ইসকন থেকে বহিষ্কৃত হন, বর্তমানে সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন।
What's Your Reaction?