লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর।

লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আজ বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। তবে, ৬০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

Nov 27, 2024 - 04:15
 0  7
লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর।

লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আজ বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। তবে, ৬০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর অবশেষে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে।

আজ স্থানীয় সময় ভোর চারটা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। দীর্ঘ এই সংঘাতের ফলে ইসরায়েল ও লেবাননের লাখ লাখ মানুষ নিজ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় হামাসকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আন্তসীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তার মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যা ইসরায়েলের প্রধান মিত্র ও সামরিক সমর্থক, এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে লেবাননের জন্য ‘নতুন সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। নেতানিয়াহু চুক্তির জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি ইসরায়েলকে গাজায় হামাস এবং ইরানের ওপর মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে।

নেতানিয়াহু আরও জানান, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যদি কোনো নতুন হুমকি সৃষ্টি করে, তবে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে লেবাননে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩,৮২৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ৮২ জন সেনা এবং ৪৭ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির আগে লেবাননের রাজধানী এবং উত্তর ইসরায়েলে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। যদিও হিজবুল্লাহ সরাসরি কোনো আলোচনায় অংশ নেয়নি, তাদের পক্ষ থেকে লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি মধ্যস্থতা করেছেন।

লেবানন যুদ্ধ হিজবুল্লাহকে দুর্বল করলেও পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারেনি। সম্প্রতি এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন এবং সংগঠনটি শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে হারিয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow