ইন্টারপোল ও ক্যাসপারস্কির অভিযানে ৪০ সাইবার অপরাধী গ্রেফতার
সাইবার অপরাধ দমনে ইন্টারপোলের পরিচালিত ‘সিনার্জিয়া টু’ অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে গ্লোবাল ক্যাসপারস্কি। ফিশিং, র্যানসমওয়্যার এবং তথ্য চুরির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯৫টি ইন্টারপোল সদস্য দেশ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করেছে।
সাইবার অপরাধ দমনে ইন্টারপোলের পরিচালিত ‘সিনার্জিয়া টু’ অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে গ্লোবাল ক্যাসপারস্কি। ফিশিং, র্যানসমওয়্যার এবং তথ্য চুরির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯৫টি ইন্টারপোল সদস্য দেশ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করেছে।
এই অপারেশনটি ১০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে এবং ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই অপারেশন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইবার অপরাধের নেটওয়ার্ক ধ্বংসে কাজ করে।
ক্যাসপারস্কি প্রায় ৩০ হাজার সন্দেহজনক আইপি ঠিকানা ও সার্ভারের তথ্য শেয়ার করে ইন্টারপোলকে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশেরও বেশি নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করা হয়েছে। অপারেশনের অংশ হিসেবে, হংকং ১,০৩৭টি সার্ভার বন্ধ করে, মঙ্গোলিয়া ২১টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৯৩ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে, এবং ম্যাকাও ২৯১টি সার্ভার নিষ্ক্রিয় করেছে।
এছাড়া, মাদাগাস্কার ১১টি ডিভাইস জব্দ করেছে এবং এস্তোনিয়া ৮০ গিগাবাইট সার্ভার ডাটা উদ্ধার করেছে।
ইন্টারপোলের সাইবার ক্রাইম বিভাগের পরিচালক নিল জেটন এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘সাইবার অপরাধ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা লক্ষাধিক মানুষকে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।’
ক্যাসপারস্কির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউলিয়া শ্লিচকোভা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়ে আমরা গর্বিত। এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রতিটি দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তার উন্নয়নেও সহায়তা করবে।’
ক্যাসপারস্কি ইন্টারপোলের সঙ্গে ২০২৪ অলিম্পিকে জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এই যৌথ উদ্যোগ সাইবার নিরাপত্তায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।
What's Your Reaction?