ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পেতে পারেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী:
-
স্কট বেসেন্ট: ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত বেসেন্টকে ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে। তিনি হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী এবং ‘লেইস-ফেয়ার’ নীতির প্রবক্তা।
-
জন পলসন: হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক এবং ট্রাম্পের অন্যতম দাতা পলসন এই পদে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
-
ল্যারি কুডলো: ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের উপস্থাপক এবং ট্রাম্পের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের প্রাক্তন পরিচালক কুডলোকে এই পদে বিবেচনা করা হতে পারে।
জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রার্থী:
-
রিচার্ড গ্রেনেল: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে গ্রেনেলকে নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন।
-
রবার্ট ও’ব্রায়েন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ও’ব্রায়েনকে বেছে নেওয়া হতে পারে, যিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।
-
মার্কো রুবিও ও বিল হ্যাগারটি: এই দুই সিনেটরকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বিবেচনা করা হচ্ছে। রুবিও দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটিতে রয়েছেন এবং হ্যাগারটি জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদের সম্ভাবনা:
-
মাইক ওয়াল্টজ: ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেস সদস্য এবং চীনের সমালোচক ওয়াল্টজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন।
-
মাইক পম্পেও ও টম কটন: ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএ পরিচালক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আর সেনাবাহিনীতে কাজ করা হার্ভার্ড শিক্ষিত সিনেটর কটনও এই পদে সম্ভাব্য প্রার্থী।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও অন্যান্য পদে প্রার্থী:
-
টম হোমান ও চাদ ওলফ: হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর পদে এই দুজনের নাম উঠে এসেছে।
-
জন র্যাটক্লিফ: অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে র্যাটক্লিফের নাম আলোচনায় আছে। তিনি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রাক্তন পরিচালক।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পছন্দের নীতিগুলো বাস্তবায়নে অভিজ্ঞ এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন।
What's Your Reaction?