মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় ১০টি খাতে সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় ১০টি সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশ ব্যবসার সুযোগ পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে গ্লোবালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইলেকট্রিক্যাল অ্যারোস্পেস, কেমিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, এনার্জি পাওয়ার, যোগাযোগ প্রযুক্তি, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল, খাদ্য উৎপাদন, সার্ভিস, গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিসেস, তথ্য, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা।
মালয়েশিয়ায় ১০টি সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশ ব্যবসার সুযোগ পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে গ্লোবালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইলেকট্রিক্যাল অ্যারোস্পেস, কেমিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, এনার্জি পাওয়ার, যোগাযোগ প্রযুক্তি, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল, খাদ্য উৎপাদন, সার্ভিস, গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিসেস, তথ্য, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা।
মালয় মেইল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই ১০টি খাতে মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মালয়েশিয়ান কর্মীর চাকরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্যালেন্টকর্প অধ্যয়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং বলেন, “দ্রুত পরিবর্তনশীল কর্মক্ষেত্রে মালয়েশিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটালাইজেশন গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটালাইজেশন, এবং সবুজ অর্থনীতির উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, মালয়েশিয়ানদের প্রযুক্তিকে জীবিকার হুমকি হিসেবে না দেখে বরং এটি গ্রহণ করা উচিত, কারণ এগুলো মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই খাতগুলো মালয়েশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬০ শতাংশে অবদান রাখে এবং দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মীদের ৩১ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এসব সমস্যা মোকাবিলায়, মালয়েশিয়া ট্যালেন্টকর্প মাইমাহির নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যা গাইডেন্স, ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ডস, স্কিলস ম্যাপিং এবং ক্যারিয়ার পাথওয়ে তৈরিতে সহায়তা করবে।
এছাড়া, ফিউচার স্কিলস ট্যালেন্ট কাউন্সিলও এসব দক্ষতার ঘাটতি মোকাবেলায় কাজ করছে।
ট্যালেন্টকর্পের গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই ১০টি প্রধান খাতে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার চাকরি সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে দেশীয় কর্মীদের ১৮ শতাংশ দক্ষতার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে। এছাড়া, আরও ১২ লাখ চাকরি প্রভাবিত হতে পারে, যার ফলে মোট ১৮ লাখ কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হবে।
ট্যালেন্টকর্পের গবেষণায় ৬০টি নতুন উদীয়মান পেশার তালিকা করা হয়েছে, যার ৭০ শতাংশ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং ২০ শতাংশ টেকসই ও গ্রীন ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া, ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, সাস্টেইন স্পেশালিস্ট এবং ড্রোন পাইলটের মতো পেশাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষকরা জানান, গ্লোবালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করে মালয়েশিয়ার এই সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বাংলাদেশ সুযোগ নিতে পারে।
What's Your Reaction?