যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হিজবুল্লাহ
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবে কিছু মন্তব্যসহ সম্মতি জানিয়েছে লেবানন ও ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবে কিছু মন্তব্যসহ সম্মতি জানিয়েছে লেবানন ও ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান। তিনি এই প্রস্তাবকে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে গুরুতর প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল জানান, লেবানন ইতোমধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে আরও আলোচনা চালাতে হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে অবস্থান করছেন।
হিজবুল্লাহ এই আলোচনায় নবীহ বেরিকে সমর্থন জানিয়েছে। খলিল বলেন, লেবানন ইতিবাচক পরিবেশে প্রস্তাবের ওপর তাদের মতামত দিয়েছে, তবে বিস্তারিত প্রকাশ করতে রাজি হননি।
জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১
খলিল আরও বলেন, লেবাননের মন্তব্যগুলো জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে এই রেজোলিউশন পাস করা হয়েছিল।
এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত ও লিটানি নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর সশস্ত্র উপস্থিতি নিষিদ্ধ।
ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইসরাইলের ওপর
খলিলের মতে, এই উদ্যোগের সাফল্য ইসরাইলের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, "যদি ইসরাইল সমাধান না চায়, তবে তারা ১০০টি সমস্যা তৈরি করতে পারে।"
ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, রেজোলিউশন ১৭০১ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। তাদের দাবি, সীমান্ত এলাকায় এখনও হিজবুল্লাহর অস্ত্র ও যোদ্ধাদের উপস্থিতি রয়েছে।
অন্যদিকে, লেবানন অভিযোগ করে বলছে, ইসরাইল তার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে নিয়মিত যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছে।
সংক্ষেপে:
লেবানন ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা নিলেও, প্রকৃত অগ্রগতি ইসরাইলের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে।
What's Your Reaction?