সীমান্তে তুর্কি ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ, ভারতীয় মিডিয়ার দাবি
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জটিলতার দিকে যাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেও, সাম্প্রতিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক প্রভাবিত হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জটিলতার দিকে যাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেও, সাম্প্রতিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক প্রভাবিত হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ ঘটনায় সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করে জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং ভাঙচুর চালায়।
এর মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন অপপ্রচার ও ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। মাইক্রোসফটের এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম যাচাই-বাছাই না করেই ভুল খবর প্রকাশ করছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এবং নবভারত সম্প্রতি দাবি করেছে, বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের কাছে তুরস্ক নির্মিত অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি ২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে। এই খবরে ভারত তাদের সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, এবং যুগান্তর স্বাধীনভাবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়রাকতার টিবি ২ ড্রোন নজরদারি ও নির্ভুল আঘাত হানার জন্য ব্যবহৃত হয়। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘চিকেন নেক’ ঘিরে এই ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (আইডিআরডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে ১২টি বায়রাকতার টিবি ২ ড্রোনের প্রথম ধাপে ছয়টি ড্রোন পেয়েছে। বাংলাদেশের ডিফেন্স টেকনোলজি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এই ধরনের খবর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সম্পর্কের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে
What's Your Reaction?