হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে সাদপন্থিরা মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক

মাওলানা সাদের অনুসারীরা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

Dec 18, 2024 - 08:29
 0  1
হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে সাদপন্থিরা মিথ্যাচার করেছে: মামুনুল হক

মাওলানা সাদের অনুসারীরা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "ইজতেমা হবে কি হবে না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওলামা সম্মেলনে। তবে ইজতেমা ময়দান নিয়ে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ কোনো দুপক্ষের সংঘর্ষ ছিল না, এটি ছিল একতরফা হামলা। ঘুমিয়ে থাকা সাথী ভাইদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।"

মামুনুল হক আরও বলেন, "যদি মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, তবে তাদেরও খেসারত দিতে হবে।" তিনি বলেন, "হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।" 

তিনি জানান, হামলাটি ওসামা বিন ওয়াসিফ-এর নেতৃত্বে হয়েছে এবং এর সকল সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। হামলার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম কাকরাইল মসজিদে দুপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করতে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা হামলা থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।

এদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন— বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) এবং বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে, বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় এবং তাইজুল ইসলামের বাড়ি বগুড়া জেলার একটি এলাকায়। 

এই সংঘর্ষটি বুধবার ভোর ৪টার দিকে ঘটে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর জুবায়েরপন্থীরা আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন, যাতে সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে, সাদপন্থী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেন। এই সময়, ময়দানের ফটকে অবস্থান করা জুবায়েরপন্থীরা তাদের বাধা দিলে, সাদপন্থীরা তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন। এরপর ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হন, তাদেরকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow