অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৫টি প্রশ্ন তুলে দিলেন আসিফ আকবর
দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় সক্রিয় থাকেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছেলেকে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন।
দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় সক্রিয় থাকেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছেলেকে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন।
ফেসবুকে পোস্টে আসিফ আকবর কুমিল্লা জেলা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
"মিডিয়ায় বলেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের একশ দিন পূর্ণ না হলে আলোচনা-সমালোচনায় যাবো না। নতুন সরকারকে একশ দিন সময় দেওয়া এক ধরনের সৌজন্যতা। কিন্তু এখন সেই সৌজন্যতা শেষ, এখন থেকে ভালো-মন্দ লিখতে হবে, পুরনো অভ্যাস। শুরু করতে চাই আমার জেলা কুমিল্লা নিয়ে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, দুজনেই কুমিল্লার সন্তান, দুজনেই সরকারের প্রভাবশালী সদস্য, আপনাদের অভিনন্দন।
১. এই মওসুমে বিপিএল ক্রিকেটে কুমিল্লা কেন নেই? এই প্রশ্নের উত্তর আসিফ মাহমুদ আপনি কি দিবেন? আমি নিজেও জানতে চাই।
২. কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি এখনও কেন গঠন করা হয়নি? কেন এখনও অনিশ্চয়তা? মূল কমিটি কবে হবে? খেলাধুলার ক্যালেন্ডার কীভাবে হবে? স্থানীয় খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে!
৩. ঢাকার ফুটবল টিমকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়ার কারণ কী? তারা হোমগ্রাউন্ড বানিয়ে খেলবে আর কুমিল্লার খেলোয়াড়রা মাঠের বাইরে থাকবে, এটা কী ধরনের যুক্তি? ক্রিকেট মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, অথচ মাঠ দখল করেছে ঢাকার ক্লাব ফুটবল দল! কুমিল্লার খেলোয়াড়দের জন্য এটা মহা প্রতিবন্ধকতা, কেন এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?
৪. পতিত স্বৈরাচার হাসিনা কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে কলোরেকটাল অ্যালার্জিতে ভুগে শেষমেশ দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন। এখন আপনারা কুমিল্লাবাসীকে জানান- কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নে কোথায় বাধা? অগ্রগতি কতদূর?
৫. কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই ছয় জেলায় প্রবাসী জনগণের আধিক্য বেশি। কুমিল্লা এয়ারপোর্ট পুনরায় চালু করার দাবি বহু আগে থেকেই উঠছে, আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
স্বাধীনতার পর কুমিল্লা জেলাবাসী বড় বড় নেতা-মন্ত্রী পেয়েছে, কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে করা এই জরুরি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।"
What's Your Reaction?