বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে চামচা পুঁজিবাদ এবং চোরতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে, যার ফলে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তসরুপ হয়েছে। বিভিন্ন খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে, এবং দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে। শুধু দারিদ্র্যই নয়, সম্পদ ভোগেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তিনটি পরপর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে আমলাদের মাধ্যমে, পরবর্তী অবস্থানে রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা ছিল, এবং তা বাস্তবে পরিণত হয়ে দেশ ইতোমধ্যে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপসহ মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়েছে।
এ বিষয়ে অর্থনীতির শ্বেতপত্র কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে। কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, তারা ইতোমধ্যে ৬টি সুপারিশ দিয়েছেন সমস্যার সমাধানে। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কমিটির প্রধানসহ অন্যান্য সদস্যরা তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। ৪০ শতাংশ উন্নয়ন ব্যয় তসরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে বড় বাধা। তাছাড়া, অভিবাসনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয়েছে এবং অর্থপাচারও হয়েছে। এছাড়া, ১০ শতাংশ মানুষের কাছে ৮৫ শতাংশ সম্পদ কেন্দ্রিত হওয়ার ফলে বৈষম্য বাড়ছে।
কমিটির সদস্যরা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এবং সরকারের প্রতি বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে, যাতে আগামী বাজেটের আগে সরকারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়।