জেদ্দায় আরব সাগরতলে কোরালপ্রাচীরে বিয়ে হলো তাঁদের
বিয়ে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। একসময় সাদামাটা আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। এখন দিনটি অসাধারণ ও রঙিন করে তুলতে মানুষ কত–কী না করেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেউ রাজপ্রাসাদ ভাড়া করেন, কেউ ভাড়া করেন দুর্গ, আবার কেউ কিনে বা ভাড়া নিয়ে নেন আস্ত এক দ্বীপ। তাই বলে সমুদ্রের পানির নিচে বিয়ের আয়োজন! যদিও এমন আয়োজন নজিরবিহীন নয়।
বিয়ে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। একসময় সাদামাটা আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। এখন দিনটি অসাধারণ ও রঙিন করে তুলতে মানুষ কত–কী না করেন।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেউ রাজপ্রাসাদ ভাড়া করেন, কেউ ভাড়া করেন দুর্গ, আবার কেউ কিনে বা ভাড়া নিয়ে নেন আস্ত এক দ্বীপ। তাই বলে সমুদ্রের পানির নিচে বিয়ের আয়োজন! যদিও এমন আয়োজন নজিরবিহীন নয়। এর আগে সমুদ্রের তলদেশে বিয়ে হয়েছে। তবে সেই সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা।
নিজেদের বিশেষ দিনটি আরও স্মরণীয় করে তুলতে সৌদি আরবের হাসান আবু আল-ওলা ও ইয়াসমিন দফতারদার এমনই এক আয়োজন করেছেন। জেদ্দায় আরব সাগরের স্বচ্ছ জলরাশির নিচে অত্যাশ্চার্য কোরালপ্রাচীরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। সৌদি আরবের স্থানীয় একটি ডাইভিং দল তাঁদের এ স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেন।
হাসান ও ইয়াসমিন উভয়ই ডাইভিংয়ে (পানির নিচে প্রাণবৈচিত্র্য উপভোগ করতে ডুব দেওয়া) আগ্রহী। এ কারণেই তাঁরা বিয়ের জন্য সমুদ্রের তলদেশকে বেছে নেন।
পরে দিনটির কথা মনে করে হাসান বলেন, ‘এটা সত্যিই এক বিস্ময় ছিল। আমরা প্রস্তুত হওয়ার পর ক্যাপ্টেন ফয়সাল ও তাঁর দল আমাদের বললেন, সমুদ্রের পানির নিচে তাঁরা আমাদের বিয়ে উদ্যাপন করার পরিকল্পনা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, কোনো সমস্যাতেই পড়তে হয়নি। উদ্যাপন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।’
এই জুটির বিয়ের এ গল্প অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। সৌদি আরবে এটাই প্রথম সমুদ্রের পানির নিচে কোনো বিয়ের আয়োজন। দুঃসাহসিক জুটিদের মধ্যে এ ধরনের বিয়ে আয়োজনের আগ্রহ বাড়ছে। হাসানের আশা, তাঁর বিয়ের গল্প শুনে আরও মানুষ এমন আয়োজনে আগ্রহী হবেন।
What's Your Reaction?