ট্রাম্প জেতার পর আবার নীতি সুদহার কমাল ফেড
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবারও নীতি সুদহার কমিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফেড ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার হ্রাসের ঘোষণা দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ফেডের এই সিদ্ধান্ত আসে। তবে ফেড জানিয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবারও নীতি সুদহার কমিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফেড ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার হ্রাসের ঘোষণা দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ফেডের এই সিদ্ধান্ত আসে। তবে ফেড জানিয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, ফেড নীতি সুদ কমাবে। তবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ফেড অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফেড সুদ কমানোর পদক্ষেপ নেয়। এনবিসি ও রয়টার্স জানায়, এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ভারতসহ বেশ কিছু দেশের শেয়ারবাজারেও পড়েছে।
৬ নভেম্বর পুনরায় নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তার নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফেড সুদ কমানোর ঘোষণা দেয়। এ প্রসঙ্গে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, ‘ডিসেম্বরের বৈঠকে পরিসংখ্যান যাচাই করে সুদহার আরও কমানো হবে কি না, তা চূড়ান্ত করা হবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডের সুদ কমানোয় যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের খরচ কমবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর কমানো, শুল্ক বৃদ্ধিসহ কড়া নীতিগুলো মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে। এতে ট্রাম্প প্রশাসন বড় অঙ্কের ঋণ নিতে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
ফেড সুদ কমানোয় উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক ঋণ সুবিধা আরও সহজে পেতে পারে। কারণ ফেডের নীতি সুদের হার এসব দেশের অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলে।
সেপ্টেম্বরে ফেড প্রথম ধাপে ০.৫০ শতাংশ সুদ কমিয়েছিল। যেখানে বেশিরভাগ মানুষই ০.২৫ শতাংশ কমার আশায় ছিল। এতদিন সুদহার ছিল ৫.২৫ থেকে ৫.৫০ শতাংশের মধ্যে, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এখন তা নেমে ৪.৭৫ থেকে ৫ শতাংশ হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ২০২১ সাল থেকেই ফেড সুদ বাড়ানোর নীতি নেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছায়। তবে এখন তা কমে ২ শতাংশের ঘরে এসেছে।
What's Your Reaction?