ব্যবসার প্রলোভনে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ
রাতারাতি ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে বন্ধু এবং নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া রাজিব এবং চাঁদপুরের মো. মনির হোসেন। বর্তমানে তারা লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন।
রাতি কোটিপতির প্রলোভনে কোটি টাকা আত্মসাৎ: রূপগঞ্জ ও চাঁদপুরের দুই ব্যক্তি পলাতক
রাতারাতি ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে বন্ধু এবং নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল কাদির ভূঁইয়া রাজিব এবং চাঁদপুরের মো. মনির হোসেন। বর্তমানে তারা লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন।
মামলার প্রেক্ষাপট
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা মো. ফয়সাল সরকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাঞ্ছারামপুর আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ১ নম্বর আসামি মো. মাহিরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে রয়েছেন।
প্রতারণার নেপথ্যের ব্যক্তিরা
১. আসামি ১: মাহিরুল ইসলাম (৪০), সোনারগাঁওয়ের আমবাগ গ্রামের বাসিন্দা।
২. আসামি ২: আবদুল কাদির ভূঁইয়া রাজিব (৪০), রূপগঞ্জের রূপসী বাগবাড়ি এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে।
৩. আসামি ৩: মো. মনির হোসেন (৩৬), চাঁদপুরের সুচীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল বারেকের ছেলে।
প্রতারণার কৌশল
রূপগঞ্জের বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকা "অটোমেটিভ মার্কেটিং সলিউশনস বিডি" নামের একটি লুব্রিকেন্ট ব্যবসার আড়ালে চক্রটি লোকজনকে বিপুল লভ্যাংশের লোভ দেখাত। দামি গাড়ি ব্যবহার ও বিলাসী জীবনযাপনের মাধ্যমে তারা নিজেদের সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত করত। আসামি আবদুল কাদির ভুঁইয়া রাজিব গ্রাহকদের বলতেন, লেনদেনের বিষয়ে যেন অন্য কাউকে জানানো না হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহিরুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব কয়েক ধাপে মো. ফয়সাল সরকারের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা নেন। তারা একটি তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র তৈরি করলেও চেক প্রদান করতে গড়িমসি করেন। চাপের মুখে চেক দিলেও তা ব্যাংকে জমা দিলে কোনো টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
ফয়সালসহ আরো অনেকে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরে ফয়সাল আদালতের শরণাপন্ন হন।
বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ভুক্তভোগী ফয়সালের দাবি, এই প্রতারক চক্র বহু চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেকেই তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয়দের দাবি
তারাবো পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবির জানান, রাজিব ও তার সহযোগীরা ব্যবসার অংশীদার হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
What's Your Reaction?