মেনোপজের সময়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য
মেনোপজ নারীর স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এটি নারীর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং অনেক সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এই স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
মেনোপজ নারীর স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এটি নারীর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং অনেক সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এই স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
আন্তর্জাতিক মেনোপজ দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটির আয়োজনে এক সেমিনারে এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা দীবা এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
ফারজানা দীবা বক্তব্যে মেনোপজের সময় ও পরে হরমোন থেরাপির প্রয়োজনীয়তা, সতর্কতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। হেলাল উদ্দিন আহমেদ মেনোপজের সময় এবং পরে মানসিক স্বাস্থ্য দেখার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। পরে, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্যানেল বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
প্যানেলে ছিলেন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এইচএএম নাজমুল আহসান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মো নুরুজ্জামান খন্দকার, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী এবং অধ্যাপক ফৌজিয়া হোসেন।
বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বর্ষীয়ান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন l ছবি: সংগৃহীত
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, বর্ষীয়ান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন বলেন, “বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষকে শারীরিক, মানসিক এবং আর্থসামাজিকভাবে বিশেষ সহায়তা প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। নারীদের ক্ষেত্রে তো বিষয়টি আরও খারাপ। বয়স্ক নারীরা প্রতিনিয়ত অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হন। মেনোপজ একজন নারীর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।”
তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে কারও নজর নেই। তাই সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভেঙে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা জরুরি। আমাদের একটি জোরালো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কামরুন্নেসা আহমেদ এবং শেখ জিন্নাত আরা নাসরিন।
What's Your Reaction?