সিলেট মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটি নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক
সিলেট মহানগর বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে শুরুতেই নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন, এই কমিটিতে অনেকেই “আওয়ামীঘেঁষা” ও সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তি ঠাঁই পেয়েছেন, আর দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন। তাঁদের মতে, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া এবং জীবন ঝুঁকিতে ফেলা অনেক নেতাই এই কমিটিতে স্থান পাননি।
সিলেট মহানগর বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে শুরুতেই নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন, এই কমিটিতে অনেকেই “আওয়ামীঘেঁষা” ও সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তি ঠাঁই পেয়েছেন, আর দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন। তাঁদের মতে, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া এবং জীবন ঝুঁকিতে ফেলা অনেক নেতাই এই কমিটিতে স্থান পাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক পদে ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ সাফেক মাহবুব নির্বাচিত হন। তবে আন্দোলনকালে দেশের বাইরে অবস্থানের কারণে সভাপতি পদ থেকে নাসিম হোসাইনকে সরিয়ে মিফতাহ সিদ্দিকীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রায় ২০ মাস পর ৪ নভেম্বর বিকেলে ১৭০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই কমিটিতে ২০ জন সহ-সভাপতি, ১৫ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ৫ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি বিভিন্ন পদে একাধিক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের একটি অংশে অসন্তোষ দেখা দেয়। পদবঞ্চিত নেতারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং অযোগ্যদের বাদ দিয়ে সংশোধিত কমিটি গঠনের দাবি জানান। নতুন কমিটি নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা প্রকাশ করেছেন।
পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ বহু নেতা বাদ পড়লেও “আওয়ামীঘেঁষা” এবং নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিরা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়া জেলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন সাবেক নেতাকেও কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ বলেন, “১৭ বছর ধরে দলের মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় থেকেছি, তবুও কমিটিতে ঠাঁই পেলাম না। তবে যাঁরা দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁরাও কমিটিতে স্থান পাননি, যা দুঃখজনক। আমি কমিটিতে না থাকা নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার সংগ্রামের প্রতিটি ফোঁটা রক্ত উৎসর্গ করলাম।”
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, “পদবঞ্চিতদের বিষয়ে হাই কমান্ড অবগত রয়েছে, ভবিষ্যতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা নেতৃত্বে আসবেন।
What's Your Reaction?